
প্রথম সাক্ষাৎকারে জয়। দ্বিতীয় পর্বেও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারাল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ৫২ রানে জিতে প্লে অফের ক্ষীণ আশা বাঁচিয়ে রাখলেন শ্রেয়স আয়াররা। কামিন্সদের দুরন্ত বোলিং জয় এনে দিল নাইটদের। প্রথমে ব্যাট করে মুম্বইয়ের সামনে জয়ের জন্য ১৬৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল নাইট রাইডার্স। জয়ের জন্য লক্ষ্যটা খুব একটা বড় ছিল না মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সামনে। কিন্তু প্রথম ওভারেই ধাক্কা খায় মুম্বই। টিম সাউদির ওভারের শেষ বলে উইকেটকিপার শেলডন জ্যাকসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ৬ বলে মাত্র ২ রান করেন তিনি। চলতি আইপিএলে বিরাট কোহলির মতো তিনিও চূড়ান্ত ব্যর্থ। কোহলির ব্যর্থতা বাকিরা পুষিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের এই দলে রোহিতের ব্যর্থতা পুশিয়ে দেওয়ার ব্যাটার নেই। মিডল অর্ডারকে যিনি এতদিন নির্ভরতা দিয়ে এসেছেন, সেই সূর্যকুমার যাদব হাতের পেশিতে চোট পেয়ে আইপিএলের বাইরে। তবে সোমবার রোহিত শর্মার আউট নিয়ে কিন্তু জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ব্যাক অফ ফুল লেংথ একটা ডেলিভারি ছুটে এসেছিল রোহিত শর্মার দিকে। মুম্বই অধিনায়ক রক্ষ্মণাত্মক ভঙ্গিতে বলটা ডিফেন্ড করতে যান। বল ব্যাটে না লেগে সরাসরি প্যাডে এসে ধাক্কা মারে। দেখে মনে হচ্ছে যে বলটা থাই প্যাডে লেগে উইকেটের পিছনে চলে যায়। সেখানেই ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচ ধরেন কলকাতার কিপার শেলডন জ্যাকসন। এরপর শুরু হয় আসল নাটক। প্রথমে অনফিল্ড আম্পায়ার নাইট ব্রিগেডের আবেদন নাকচ করে দেন। এরপর রিভিউ নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। সেখানে থার্ড আম্পায়ার আউট দিয়ে দেন। কিন্তু আলট্রা এজে স্পষ্ট দেখতে পাওয়া যায় যে বল ব্যাটে লাগার আগে এবং ব্যাট অতিক্রম করে যাওয়ার পরেও আলট্রাএজে বড় বড় স্পাইক দেখতে পাওয়া যায়। এরপরই আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। প্রশ্ন ওঠে, এই উন্নত প্রযুক্তিও কি ধোঁকা দিল? সেই প্রশ্নের জবাব মেলেনি। রোহিত আউট হওয়ার পর দলকে টেনে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব ছিল ঈশান কিষানের ওপর। ভালোই খেলছিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের এই ওপেনার। রোহিতের ব্যর্থতা ঢেকে দিয়ে দলকে টেনে নিয়ে যান। কিন্তু তিলক ভার্মা (৬), রমণদীপ সিং (১৬ বলে ১২), টিম ডেভিডরা (৯ বলে ১৩) সঙ্গ দিতে পারেননি ঈশানকে। এদিন আগ্রাসী বোলিং করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মিডল অর্ডারকে গুড়িয়ে দেন আন্দ্রে রাসেল ও প্যাট কামিন্স। রাসেল তুলে নেন তিলক ও রমণদীপকে। অন্যদিকে প্যাট কামিন্সের শিকার ঈশান (৪৩ বলে ৫১), ড্যানিয়েল সামস (১), মুরুগান অশ্বিন (০)। কায়রন পোলার্ড ১৬ বলে ১৫ রান করে রান আউট হন। ১৭.৩ ওভারে ১১৩ রানে শেষ হয়ে যায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ইনিংস। এদিন প্রথম পাঁচ–পাঁচটি পরিবর্তন করে মাঠে নেমেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ভাল শুরু করেছিলেন দুই ওপেনার অজিঙ্কা রাহানে ও ভেঙ্কটেশ আয়ার। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৬০। ভেঙ্কটেশ আয়ারকে তুলে নেন কুমার কার্তিকেয়া। ২৪ বলে ৪৩ রান করে আউট হন ভেঙ্কটেশ। রাহানের সঙ্গে জুটি বেঁছে দলকে টেনে নিয়ে যান নীতিশ। একাদশ ওভারে রাহানেকে (২৪ বলে ২৫) তুলে নেন সেই কার্তিকেয়া। শ্রেয়স আয়ার (৬) এদিনও নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। ৫ বলে ৯ রান করে বুমরার বলে আউট হন রাসেল। একই ওভারে নীতিশ রানাকেও তুলে নেন বুমরা। ২৬ বলে ৪৩ রান করে উইকেটের পেছনে ঈশান কিশানের হাতে ক্যাচ দেন নীতিশ। নীতিশ আউট হওয়ার পরপরই নাইটদের বড় রানের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। ১৯ বলে ২৩ রান করে অপরাজিত থাকেন রিঙ্কু সিং। ডেথ ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করে ৪ ওভারে ১টি মেডেনসহ ১০ রানে ৫ উইকেট তুলে নেন বুমরা। ১৬৫/৯ রানে থেমে যায় নাইটরা।
from Bengali News, Bangla News Live, আজকের বাংলা খবর, Current News in Bengali, বাংলা নিউজ, কলকাতা বাংলা খবর - এই সময় https://ift.tt/Rsenh5M
via IFTTT
No comments:
Post a Comment