
একদা 'অধীর-গড়' হিসাবে পরিচিত মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) ফের শক্তি বাড়াচ্ছে কংগ্রেস। অন্যদিকে, লাগাতার কর্মসূচির মাধ্যমে অক্সিজেন সংগ্রহ করছে বামেরা। যখন শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি সহ একের পর এক বেনিয়মে জেরবার শাসকদল, গ্রেফতার হচ্ছে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা, ধর্ম-ধ্বজা নিয়ে মিটিং-মিছিল চালাচ্ছে BJP, তখন যেন নিঃশব্দ বিপ্লব ঘটে চলেছে মুর্শিদাবাদ, পূর্ব মেদিনীপুর, হুগলি সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। কোথাও বাম তো কোথাও কংগ্রেস ফের ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। রাজ্যের শাসক ও প্রধান বিরোধী দলের বর্তমান অবস্থা দেখে জনগণ আবার সেই বাম-কংগ্রেসেই আস্থা রাখছে বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের। গত বিধানসভা নির্বাচনে একটিও আসন পায়নি বাম ও কংগ্রেস। কিন্তু চলতি বছরের পুর নির্বাচন থেকে যেন ফের চাকা ঘুরতে শুরু করেছে। এরপর গত দুমাস ধরেই রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের মতো মুর্শিদাবাদেও (Murshidabad) শাসক শিবির ও গেরুয়া শিবির থেকে বেশ কিছু কর্মী-সমর্থক কংগ্রেস ও বাম দুর্গে যোগ দিতে শুরু করে। এর উপর সম্প্রতি লালগোলায় একটি পঞ্চায়েত তৃণমূলের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে বাম-কংগ্রেস জোট। যা বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। তিনদশক মুর্শিদাবাদ শাসন করছেন তথাকথিত মুর্শিদাবাদের 'রবিনহুড' ()। ২০১৬ সালের পর থেকে মুর্শিদাবাদে ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু শক্তিতে পরিণত হয়েছে কংগ্রেস। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে কার্যত পর্যদুস্ত হয়ে গিয়েছিল অধীরের কংগ্রেস। অধীর দুর্গে থাবা বসিয়ে ২২ আসনের ২০টি বিধানসভার দখল নিয়েছিল ঘাসফুল শিবির। দুটি আসন গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের ঝুলিতে। সম্প্রতি গোরু পাচার কাণ্ড, SSC নিয়োগে দুর্নীতিতে জর্জরিত শাসকদল। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই ফের শক্তি সঞ্চয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে কংগ্রেস। গত দুমাসে জেলায় ১৭টি চিন্তন শিবির করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। আর এই শিবিরগুলিতে তৃণমূল, BJP ছেড়ে বহু কর্মী-সমর্থক কংগ্রেসে যোগদান করছেন বলে হাত শিবিরের দাবি। জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, "ভগবানগোলার ১০০, বড়ঞা ১৬০ সহ চিন্তন শিবিরে দেড় হাজার সমর্থক অধীর চৌধুরীর হাত ধরে দলীয় পতাকা তুলে নিয়েছে।" অন্যদিকে, পিছিয়ে নেই বামেরাও। বিশেষ করে বাম ছাত্র সংগঠন SFI, যুব সংগঠন DYFI যুবদের ফেরাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। বাম জাঠাও ঢুকেছে মুর্শিদাবাদে। জেলাজুড়ে বাম জাঠা ব্যাপক প্রভাব ফেলবে বলেই দাবি দুই শাখা সংগঠনের। CPIM-এর জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা বলেন, তৃণমূলের দুর্নীতি আজ মানুষের সামনে। মানুষ বিকল্প শক্তি হিসাবে বাম-কংগ্রেস জোটকে গুরুত্ব দিতে শুরু করেছে। বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে বাম, কংগ্রেসের যেভাবে শক্তি বৃদ্ধি করতে শুরু করেছে তা আগামী পঞ্চায়েত ভোটের বড় প্রভাব পড়বে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও বিষয়টিতে গুরুত্ব দিচ্ছে না বলে দাবি তৃণমূলের। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি অশোক দাস বলেন, মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের কথা মনে রেখেছে। আমরা সেই উন্নয়নের ধারা দিয়েই পঞ্চায়েতে জয় আনব।
from Bengali News, Bangla News Live, আজকের বাংলা খবর, Current News in Bengali, বাংলা নিউজ, কলকাতা বাংলা খবর - এই সময় https://ift.tt/iMcbGzm
via IFTTT
No comments:
Post a Comment