
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর দলের অধিনায়ক হিসেবে এটাই ছিল বিরাট কোহলির শেষ ম্যাচ। কিন্তু, শেষ ম্যাচটা একাবারেই সুখকর হল না। কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে চার উইকেটে হেরে আইপিএল ২০২১ মরশুম থেকে বিদায় নিতে হল বেঙ্গালুরুকে। শেষ ম্যাচে পরাজয়ের আক্ষেপটা বোধহয় কোহলির চিরকাল থেকেই যাবে। ম্যাচের পর তিনি বললেন, 'আমি এই দলের একটা কালচার তৈরি করার জন্য নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। যেখানে তরুণ ক্রিকেটাররা এসে নিজেদের মতো করে খেলতে পারে। এই একই জিনিস আমি ভারতীয় ক্রিকেট দলের হয়েও করে থাকি। এই ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য আমি নিজের ১২০ শতাংশ উজাড় করে দিয়েছি। আগামীদিনে দলের ক্রিকেটার হিসেবেও আমি এই একই কাজ করে যাব। পরের তিন বছরের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি নতুন করে দল গড়ে তোলার চেষ্টা করবে। আমি অবশ্যই RCB-র হয়েই খেলব। আমার কাছে বিশ্বস্ততাই সবথেকে বড় জিনিস। যে কথা আমি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে দিয়েছি, সেখান থেকে আমি বিন্দুমাত্র সরে আসব না। আইপিএল কেরিয়ারের শেষ দিন পর্যন্ত তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করব।' আজ নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রান তুলেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। শুরুটা বেশ ভালোই করেছিলেন অধিনায়ক নিজে। কিন্তু, তিনি ফিরতেই রানের গতি ক্রমশ নিম্নমুখী হতে শুরু করে। এই প্রসঙ্গে বিরাট বললেন, 'ওদের স্পিনাররা মিডল ওভারে আমাদের রীতিমতো দমিয়ে রেখেছিল। নিয়মিতভাবে শিকার করছিল উইকেট। আমাদের শুরুটা ভালো হলেও, একটা বড় পার্টনারশিপ গড়ে তোলার দরকার ছিল। আমাদের খারাপ ব্যাটিংয়ের থেকেও বলব, ওরা দুর্দান্ত বোলিং করেছে।' আজকের ম্যাচে সুনীল নারাইনের হাতে সেরার পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। তিনি ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে চারটে উইকেট শিকার করেছেন। পাশাপাশি কলকাতার এই ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার ঝড়ের গতিতে ২৬ রানও করেন। তাঁকে নিয়েও প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন বিরাট। তিনি বলেন, 'ও বল হাতে সবসময়ই অসাধারণ। আজ রাতে আরও একবার সেই প্রমাণটাই রাখল। দেখিয়ে দিল, কেন ওকে আইপিএল টুর্নামেন্টের সবথেকে ধারাবাহিক উইকেট শিকারির তকমা দেওয়া হয়। তবে শুধুমাত্র ও একাই নয়, সাকিব এবং বরুণও যথেষ্ট ভালো পারফরম্যান্স করেছে। ওরা আমাদের ব্যাটারদের উপরে ক্রমাগত চাপ তৈরি করে গিয়েছে এবং রান তুলতে দেয়নি।'
from Bengali News: বাংলা সংবাদ, বাংলার আজকের খবর, Latest Bangla News, Breaking Bengali News, Latest Bengali News | Eisamay https://ift.tt/3AwSKkk
via IFTTT
No comments:
Post a Comment